জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকহানাদার বাহিনী এদেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় ১৭ আগষ্ট ফরিদপুর সদর উপজেলার কোমরপুর গ্রামে এক নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ হামলায় নিহত হন তৎকালীন কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মরহুম আজহারুল ইসলাম মিয়ার সহধর্মিণী তহুরা ইসলাম ও তার দুই কন্যা রোজিনা ইসলাম রোজি ও সাবিনা ইসলাম টকি। তাদের স্মরণে ১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার কোমরপুর তাদের নিজ বাসভবনে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহীদ তহুরা ইসলাম স্মৃতি সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি বদিউর রশিদ মুক্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীম হক। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছা. মাহমুদা বেগম, আযহারুল ইসলামের জেষ্ঠ কন্যা মোছা. সেলিনা ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আযহারুল ইসলাম মিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এর অনেক সাক্ষী রয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অথচ এই মানুষটি এবং তার পরিবার আজও অবহেলিত। তার পরিবারের উপর পাকিস্তানি হানাদারেরা বর্বোরচিত হামলা চালিয়ে শহীদ করেন তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে। ওই হামলায় আহত হন তার মা ও তার আরও দুই কন্যা। কোন অপরাধে এই পরিবারের উপর এমন হামলা হয়েছিলো? তার অপরাধ ছিলো তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। কিন্তু এই পরিবারটি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে আজও শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার ও দুঃখের।
বক্তারা এ সময় পৌর মেয়র, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট দাবী করেন এই পরিবারটিকে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ পরিবার হিসেবে এবং মরহুম আজহারুল ইসলাম মিয়াকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply