স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চাই অসহায় আখি, ছোটবেলাতেই পিতৃহারা হয়েছে আখি। তারপর মায়ের সঙ্গে চলে আসে মধুখালি উপজেলার কোড়কদী ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামে নানা নুরুল শেখ এর বাড়িতে। নানা নুরুল শেখ নাতিকে লেখাপড়া করায়, আস্তে আস্তে আখি বড় হতে থাকে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে যখন আখি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে চেহারা সুন্দর হওয়ার অল্প বয়সে ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে তার বিয়ে হয় মোঃ ইমরুল শেখের সাথে, ইমরুল শেখর পিতাঃ মোঃ নায়েব আলী শেখ, গ্রাম আরকান্দি, থানা বালিয়াকান্দি,জেলা রাজবাড়ী আখি সুন্দরী হওয়ায় পিতৃহীন মেয়েটিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কিছু দাবি দাওয়া ছাড়ায় ছেলেকে বিয়ে করান, কিন্তু পরে স্বামী ইমরুল ও আখির শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে তবে শত নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করে আখি, বিয়ের ১ম বছরেই গর্ভবতী হয় আখি,সন্তান প্রসবের সময় আখির নানা তার বাড়িতে নাতনিকে নিয়ে আসে এবং পরীক্ষা নিরিক্ষা করায় কিন্তু আখির শ্বশুর বাড়ি থেকে কেউ কোন খোঁজ খবর নেয় না সিজারের তারিখ পড়লেও কোন গুরুত্ব দেয় না স্বামী ইমরুল ও শ্বশুর বাড়ির কেউ, নানা নানি গরীব হওয়ায় নাতি জামাইকে সিজারের কথা বললে নাতি জামাই বলে সিজার আপনারা করান আমি পরে আসবো, পরে মাগুরা একটি বেসরকারী ক্লিনিকে আখিকে সিজার করানো হয়, সিজারের পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হতে থাকে অবস্থা অবনতি হলে আখিকে ফরিদপুর মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়, আখি পুরোপুরি সুস্থ হয় না, আখি বিকলঙ্গ হয়ে পড়ে, ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় আখি, অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম দিকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছুদিন খোঁজখবর নিলেও পরবর্তীতে আর কোন খবর নেয় না। দরিদ্র নানা নুরুল শেখ ৩থেকে৪ লক্ষ টাকা খরচ করে আখি কে প্রায় ৯০ ভাগ সুস্থ করে স্বামীর বাড়িতে পাঠায়।স্বামীর বাড়ির লোকজন এখন আর আখিকে মেনে নিতে চায় না।বর্তমানে তার উপর চলে নানান ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আখি বলে,আমি অসুস্থ হয়েছি এতে আমার কোনো হাত নেই। সৃষ্টিকর্তাই মানুষের সুস্থতা ও অসুস্থতা দান করে থাকেন। আমি এখন অনেকটাই সুস্থ। আমি স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আখি বলে, আমি এখনো কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করি নাই, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Leave a Reply