চরভদ্রাসন(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাস উপজেলা প্রশাসনের বিলাসী ভোজন আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম এবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাংলোতে কতিপয় ভোজনবিলাশিদেরকে নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিমিয় ও মধ্যহ্ন ভোজের আয়োজন করেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজনে উপজেলার নানা শ্রেনিপেশা, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশাসনের ্এধরনের আপ্যায়নের নিরপেক্ষতা ও বৈষম্যের প্রশ্ন উঠেছে।
উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযোদ্ধা এ প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের এত বড় আয়োজনে আমি কোন দাওয়াত পাইনি। দাওয়াত পেলে হয়তো ঈদ উপলক্ষে সকলের সাথে সকলের একটু কুশল বিনিময় হতো।
উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি মোঃ আবুল কালাম, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি মনির হোসেন পিন্টু ও দৈনিক প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান, ঈদুল ফেতরকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসন এবছর এক ব্যাতিক্রম ঈদ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে প্রশাসনের ভালো একটি উদ্যোগ।
কিন্তু পাশাপাশি এঘটনায় উপজেলা প্রশাসন কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধের সামিল। কেননা এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও নানা শ্রেনিপেশা লোকদের সাথে ব্যাপক নিরপেক্ষতা ও বৈষম্য লক্ষ করা গেছে।
সাংবাদিকরা আরো বলেন, চরভদ্রাসন উপজেলায় ৪/৫ টি সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে। আর এসব সংগঠনের সকল সদস্য মিলে উপজেলায় প্রায় ৩০ জন গনমাধ্যমকর্মী রয়েছেন। এদের ভেতরে অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন প্রোগ্রামের নিউজের তথ্য সংগ্রহ করে তা আবার গনমাধ্যমে প্রচার করে থাকেন।
কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় আয়োজনে উপজেলার গুটি কয়েক গনমাধ্যমকর্মী ছারা বাকি অন্যান্যদের এ আয়োজনে আমন্ত্রণ করা হয়নি। ফলে এঘটনায় উপজেলায় কর্মরত বাকি সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের বৈষম্য করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সমাজসেবক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের ঘটা করে এমন ঈদ শুভেচ্ছা আয়োজন কি শুধুমাত্র কতিপয় লোকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। নাকি উপজেলার সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিলো। তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পের দরিদ্র পরিবারসহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীরা ঈদের দিনে একটু ভালো খাবারের আশায় দিনপার করতে থাকে। উপজেলা প্রশাসনের এ ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত ঘোষনা করা হলে, এসব অসহায়, দরিদ্র পরিবারগুলো হয়তো উপজেলা প্রশাসনের এমন ভোজন আয়োজনে সামিল হতে পারতো।
এব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে ইউএনও কে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply