ফরিদপুরে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ১৩ বছরের এক কিশোরী। সে স্থানীয় একটি  বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে।

সোমবার (৮ আগষ্ট) দুপুরে ওই কিশোরীর সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পাশের রাজবাড়ীর সুলতানপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের ২৯ বছর বয়সী এক তরুণের। বরযাত্রী নিয়ে যথারীতি কনের বাড়িতে হাজির হন বর। খবর পেয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী এ বাল্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন। তথ্য দিয়ে আদালতকে সহায়তা করে নারী সংগঠন নন্দিতা সুরক্ষা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ওই কিশোরীর বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে রান্না-বান্না করা হয়। মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার নিয়ে বরযাত্রীরা হাজির হন। প্রশাসন বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়। নারী সংগঠনটির বাল্য বিবাহসহ কিশোরী ও নারী নির্যাতন দমনের জন্য তাদের একটি হেল্প লাইন আছে। ওই হেল্প লাইনে কিশোরীর বিদ্যালয়ের সহপাঠিরা এ বাল্যবিবাহ আয়োজনের ব্যাপারে তথ্য দিলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহায়তায় এ বাল্য বিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কিশোরীর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করা হবেনা মর্মে কিশোরীর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নজরদারিতে রাখার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন ফকিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।